ওয়ানবাংলানিউজ: একজন দক্ষ শ্রমিক হিসেবে রেস্টুরেন্ট ভিসায় সহজেই ব্রিটেনে আসতে সিলেটে ক্যাটারিং ইন্সটিটিউট করবে বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ)। গত ১৪ জুলাই রবিবার সংগঠনের নতুন কমিটির সদস্যরা এই ঘোষণা প্রদান করেন।
বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশ ইউকের নতুন কমিটির দায়িত্ব প্রাপ্তরা বলেছেন বিগত কমিটির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের পাশাপাশি হোম অফিসের সাথে নিয়মিত যোগাগের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অদক্ষ শ্রমিক আনা, ডকুমেন্টবিহীন দক্ষ শ্রমিকদের কাজের বৈধতা প্রদান, আগামী অক্টোবরে ন্যাশনাল কারী উইক পালনসহ কারী ইন্ড্রাট্রির স্বার্থে তারা কাজ করে যাবেন।
বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশ ইউকের নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে গত ১৪ জুলাই রবিবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় অফিসে। ১১৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহমুদ হাসান এমবিই। নতুন দায়িত্ব প্রাপ্ত কমিটির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন এম এ মুনিম, জেনারেল সেক্রেটারী মিটু চৌধুরী ও ট্রেজারার নির্বাচিত হয়েছে সাইদুর রহমান বিপুল।
নতুন কমিটির সদস্যরা স্থানীয় বাংলা মিডিয়াকে বলেছেন ক্রমবর্ধমান হারে কমে আসা সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোসহ সংগঠনকে আরো গতিশীল করতে নানান নেয়া হবে। বিশেষ করে পুরাতন রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী যারা ব্যবসা ছেড়ে অবসর জীবন যাপন করছেন তাদেরকে আজীবন সদস্য করে তাদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো হবে। এদিকে সদস্য সাবেক কর্মকর্তারা তাদের সময়ের সফলতা তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানান।
অন্যদিকে নির্বাচন ও এজিমএ সারা দেশ থেকে অংশনেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় তারা নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ অভিনন্দন জানান।
এম এ মুনিম প্রেসিডেন্ট , মিটু চৌধুরী সেক্রেটারী জেনারেল, সাইদুর রহমান বিপুল চিফ ট্রেজারার বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। কমিটির নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন অর্গানাইজিং সেক্রেটারী সাইফুল আলম, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু, মেম্বারশীপ সেক্রেটারী ইয়ামিম হোসেন দিদার।
নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম জানিয়েছেন- অতীতের মতো লবিং এবং ক্যাম্পেইন অব্যাহত রেখে কারী ইন্ড্রাষ্টির প্রতিটি জোনাল কমিটিকে সক্রিয় করতে নবনির্বাচিত কমিটি কাজ করবে। এছাড়াও কারী ইন্ড্রাষ্টির চরম ষ্টাফ সংকট নিরসনে বিসিএ‘র ধারাবাহিক
কার্যক্রমকে সক্রিয়ভাবে অব্যাহত রাখবে। বিশেষ করে সম্প্রতি ম্যাক এর ঘোষিত সুপারিশে ওয়ার্ক পারমিট চালুর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে বিসিএ জোর লবিং অব্যাহত রেখে দাবী আদায়ে সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
সেক্রেটারী জেনারেল মিঠু চৌধুরী দক্ষ ষ্টাফ তৈরীতে সিলেটে একটি ট্রেইনিং সেন্টার স্থাপনে তার সর্বাত্নক চেষ্টার কথা বলেছেন। এছাড়াও ক্যাটারিং ইন্ড্রাষ্টির ইতিবাচক দিকগুলো মূলধারায় তুলে ধরে ইন্ড্রাষ্টির বিদ্ব্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট বিভাগে জোরালো লবিং অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
চিফ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুল- বিসিএ কে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে অতীতের মতো তার চেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন- ব্রিটেনে বিসিএ‘র সকল রিজনকে আরও সক্রিয় করে নতুন ক্যাটারার্সদের সংগঠনে যুক্ত করার মাধ্যমে কারী ইন্ড্রাষ্টির সুনাম বৃদ্ধিতে সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত কমিটিকে বরণের পাশাপাশি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল ইয়াকুব ও সেক্রেটারী জেনারেল ওলি খান ও চিফ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুলকে ফুল দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। কারী ইন্ড্রাষ্টির সম্ভাবনা ও সমস্যাগুলো উত্তোরণে সকলের ঐক্যবদ্ধতা নিয়ে কাজ করার লক্ষ্যে ব্রিটেন জুড়ে ১৫টি রিজনে বিসিএ কে সক্রিয় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নব নির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে বিসিএর বার্ষিক রিপোর্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিএর সভাপতি মোস্তফা কামাল ইয়াকুব। শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল সুলেমান জেপি। অনুষ্ঠান পরিচালনা ও সাধারণ সম্পাদকের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করেন সেক্রেটারী জেনারেল ওলি খান।বার্ষিক ফাইন্যান্স রিপোর্ট প্রকাশ করেন চিফ ট্রেজারার সাইদুর রহমান বিপুল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিসিএ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ এমবিই ও পাশা খন্দকার এমবিই এবং সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল এম এ মুনিম। মেম্বারশীপ আপডেট ও বেনিফিট নিয়ে বক্তব্য রাখেন- মেম্বারশিপ সেক্রেটারী সাইফুল আলম।
এছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনামুল হক চৌধুরী, মো. ইউসুফ সেলিম, মো.ফজল উদ্দিন এবং কাউন্সিলার পারভেজ আহমদ।
রিজিওনাল রিপোর্ট পেশ করেন সারি রিজন এর সেক্রেটারী সৈয়দ হাসান আহমেদ, ইস্ট অফ ইংল্যান্ড রিজন ১ এর সেক্রেটারী ফিরুজুল হক, ইস্ট মিডল্যান্ড রিজন এর পক্ষে এমরান চৌধুরী, লন্ডন রিজন ২ এর প্রেসিডেন্ট মোজাহিদ আলী চৌধুরী, এসেক্স রিজন এর সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু, কেন্ট রিজন এর অর্গানাইজিং সেক্রেটারী ওলিউর রহমান চৌধুরী ।